মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ 'কোরআন' এর প্রথম সূরা 'আলাক'(সূরা ৯৬) যার প্রথম শব্দ 'ইকরা'-পড়। ২য় সূরা 'কালাম'- কলম বা লিখো (সূরা ৬৮)। ১৪০০ বছর আগের আরবের অন্ধকার যুগের এক ধর্মগ্রন্থ যার ১ম ও ২য় শব্দ 'পড়' ও 'লিখ', সেই মুসলমানেরা আজ কিভাবে আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান থেকে দূরে সরে গেল? কেন মুসলিম সভ্যতা গত ৮০০ বছরে বিশ্বমানের একজনও সুপণ্ডিত সৃষ্টিতে ব্যর্থ হল?
বর্তমান বিশ্বে মুসলমানের সংখ্যা প্রায় ১৫০ কোটি। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা সম্পন্ন ৪৮টি দেশের কোনটিই এখন পর্যন্ত টেকসই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে পারে নি। প্রকৃতপক্ষে সকল মুসলিম রাষ্ট্রই আত্মস্বার্থ সেবক দুর্নীতিবাজ অভিজাতদের আধিপত্য, এরা নিরাশা তাড়িত হয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি এবং জনগনের সম্পদ চুরি করে। এসব দেশের কোনটিতেই সুস্থিত শিক্ষা পদ্ধতি অথবা আন্তর্জাতিক মর্যাদা সম্পন্ন একটি বিশ্ববিদ্যালয় নেই। শুনে অবাক হতে হয় যে ইউরোপের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ও গড়া মুসলমানদের হাতে। কী আশ্চর্য তাই না?
মুসলমানেরা যখন স্পেনের কর্ডোবা দখল করেছিল তখন তারা সেখানে আজহারের অনুকরণে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ল। যাঁরা সেখানে পড়ালেখা করল তাঁদের অনেকেই পরবর্তীতে প্যারিস য়ূনিভার্সিটির গোড়াপত্তন করল। এবং প্রথম দিককার পাঠ্যপুস্তক গুলো পর্যন্ত আরবী বই থেকে লাতিনে অনুবাদ করা। আজ আর আজহারের নাম কেউ করে না, করে প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের। কারণ মুসলমানদের সৃজনী শক্তি খুব দ্রুত ফুরিয়ে গেল। তারা একসময় বুঝে গেল, তাঁদের সব কিছু করা হয়ে গেছে, নতুন করে কিছুই আর করবার নেই। তারা পুরানো পুঁজি ভেঙে খেতে শুরু করল। তারা নতুন করে কিছু শিখতেও অস্বীকৃতি জানালো। তারা অহংকারী হয়ে উঠলো। নিজেকে অন্যের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ভাবা শুরু করল। পরকালের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইহকালকে অবজ্ঞা করতে লাগলো। তাই ইহকালের জ্ঞান বিজ্ঞান থেকে ক্রমেই পিছিয়ে গেল। ধর্মকর্ম পালনের মাধ্যমে নিশ্চিত ক্ষমা পাবার স্বপ্নে বিভোর হল। নবম থেকে ত্রয়োদশ শতকে ইসলামের স্বর্ণযুগে বিজ্ঞান, দর্শন অথবা চিকিৎসা বিজ্ঞানে একমাত্র যারা চমৎকার কিছু কাজ করেছিলেন, তাঁরা ছিলেন মুসলিম। তাঁরা কেবল প্রাচীন জ্ঞানের সংরক্ষণই করেননি, সাথে করেছেন অসামান্য উদ্ভাবন। সেই ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলা মুসলমানদের জন্য এক ট্র্যাজিক ঘটনা হিসাবে আজ প্রমাণিত।
'মুতাসিলা' নামে খ্যাত একটি মুসলিম চিন্তক গ্রুপ যুক্তিবাদী ও উদার ঐতিহ্যের এক শক্তিশালী ধারাকে বহন করে চলার কারণেই ইসলামের স্বর্ণযুগে বিজ্ঞানের অমন সমৃদ্ধি সম্ভব হয়েছিলো, কিন্তু দ্বাদশ শতকে আরব ধর্মগুরু ইমাম আল গাজ্জালীর সৈন্যপত্যে মুসলিম রক্ষণশীলতার পুনর্জাগরণ ঘটে। আল গাজ্জালী অলৌকিকভাবে প্রকাশিত বিষয়কে যুক্তির উপরে এবং নিয়তিবাদকে মুক্তচিন্তার উপরে স্থান দেন। তিনি গণিত শাস্ত্রকে ‘ইসলামবিরোধী’ বলে নিশ্চিত করে বলেন—‘এ বিষয়টি মনে উন্মত্ততা জাগিয়ে বিশ্বাসকে দুর্বল করে দেয়’। মানুষের এই মুক্তচিন্তা করার ক্ষমতাকেই গলা টিপে হত্যা করে কট্টর রক্ষণশীলতা, তথা মৌলবাদের পাপচক্রে আবদ্ধ হয়ে ইসলামের কন্ঠ রুদ্ধ হতে শুরু করল। এরপর থেকেই লেখক, দার্শনিক, বিজ্ঞানী সহ অন্যান্য পণ্ডিতদের বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত সৃজনী চিন্তা ও সৃষ্টিশীল কাজ। যার ফলে মুসলমানেরা জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্যে ক্রমেই পিছিয়ে যায় আধুনিক দুনিয়া থেকে। আধুনিক চিন্তার থেকে দূরে সরে আসার কারণেই আজ সারা পৃথিবীতে মুসলমানদের অবস্থা শোচনীয়। ধর্মের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে প্রগতিশীলতা, মননশীলতা ও সৃষ্টিশীলতার তারা বিরুদ্ধাচরণ করল। ধর্মের এই অপব্যাখ্যার কারণে ধর্মান্ধদের কাছে চিকিৎসা বিজ্ঞানী-দার্শনিক ইবনে সিনা, কবি মির্জা গালিব, কবি ওমর খৈয়াম মুরতাদ হল।
আমাদের দেশেও মুসলিম জনগোষ্ঠী যেসব সৃষ্টিশীল মানুষকে নিয়ে এখন গর্ব করেন, এঁদেরও একসময় কি কম গঞ্জনা সইতে হল। মীর মশাররফ হোসেন, বেগম রোকেয়া, কাজী নজরুল ইসলাম, সৈয়দ মুজতবা আলী, কাজী মোতাহের হোসেন, কাজী আবদুল ওদুদ, আহমদ শরীফ, সুফিয়া কামাল, শামসুর রাহমান, এঁদের সবাইকে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে কাফের-মুরতাদ বলা হল। ধর্মান্ধদের কাছে অতীতে ফুটবল ছিল শুয়োরের মাথা, রেডিও শয়তানের বাক্স, মাইক শয়তানের গলা, ইংরেজি শিক্ষা হারাম, ক্যামেরা দিয়ে মানুষ বা পশুপাখির ছবি তোলা হারাম। আর এখন, পাঠ্যপুস্তকে বিবর্তনবাদ পড়া হারাম। বিবর্তনবাদ পাঠ্যপুস্তকে পড়া যাবে না, এটা পড়া হারাম - এই কথা বলার অর্থ হল আধুনিক মেডিক্যাল সাইন্সকে অস্বীকার করা। বিবর্তনবাদ বিশ্বাসের বিষয় না, বিবর্তনবাদ গবেষণার বিষয়। কেন গবেষণার বিষয় ?
আমাদের দেহের ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন কোষ একত্রে মিলে ব্যক্তি মানুষকে ‘একটি জীব’ হিসেবে বাঁচিয়ে রেখেছে। এদের প্রতিটা আলাদা কোষই মূলত আলাদা আলাদা জীবন। শরীরের লিভার থেকে কিছু কোষ কেটে নিয়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান দিয়ে কালচার করলে দেখা যায়, সেখানেও কোষগুলো দিব্যি বেঁচে আছে, এমনকি বংশবৃদ্ধিও করছে। তবে দেহের মধ্যে এরা সবাই মিলে একটি বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করছে। কিন্তু বহুকোষী জীবের দেহে কোষগুলো নিজেদের স্বাধীন সত্ত্বা বিসর্জন দিয়ে যেভাবে কাজ করে, এর জন্য অনেক ত্যাগ করতে হয়। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক কোষকে সুইসাইড পর্যন্ত করতে হয়। অর্থাৎ দেহ নির্দেশ দিলে কিছু কোষকে বৃহত্তর স্বার্থে নিজেদেরকে মেরে ফেলতে হয়। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় অ্যাপোপটোসিস (Apoptosis)। নিজেদের স্বাধীন সত্ত্বা ভুলে কোটি কোটি কোষ মিলে একটি জীবন হিসেবে কাজ করার জন্য এই অ্যাপোপটোসিস খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু যখন কোন কোষ আর এভাবে পরের চাকরি করতে বিদ্রোহ ঘোষণা করে, তখনই শুরু হয় সমস্যা। কোষগুলো তখন নিজেদের মত স্বাধীনভাবে বাঁচতে শুরু করে, স্বাধীনভাবে বংশ বিস্তার করে। শরীরে যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটবে তখন ডাক্তার বলবে যে- আপনার ক্যান্সার হয়েছে।
এজন্যই পাঠ্য বইতে লেখা হয়- ক্যান্সার হলো এক ধরনের অনিয়ন্ত্রত কোষ বৃদ্ধি। সে যাই হোক, বিজ্ঞানীরা প্রথমে ভেবেছিলেন এ্যাপোপটোসিসের নির্দেশ দেওয়া হয় নিউক্লিয়াসে থাকা DNA থেকে। কিন্তু কয়েক বছর গবেষণার পর জানা যায় এই নির্দেশটা আসে মাইট্রোকন্ডিয়ার DNA থেকে। এজন্যই মূলধারা।
স্বাধীন বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক গবেষণা
আমরা বাংলাদেশে স্বাধীনতা প্রাপ্তির পরেও বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং প্রযুক্তির উন্নতি সম্পর্কে অনেক উন্নতি দেখতে পেয়েছি। বাংলাদেশে বিজ্ঞানের অধ্যয়ন এবং গবেষণা এখন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ উদ্যোগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় দীর্ঘদিনে ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি করেছে, এবং তাদের গবেষণা ও কাজের ফলাফল অনেক সেক্টরে আগ্রহী পূর্ণ পরিণতি সৃষ্টি করেছে।
বিজ্ঞানের মহাজান আবুল হাসান নাদবী, বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের সাথে অনগিনত কাজ করেছেন এবং তার গবেষণা ও কাজের ফলাফল অনেকগুলি সেক্টরে আগ্রহী পূর্ণ পরিণতির সৃষ্টি করেছে। তার নেতৃত্বে গবেষণা শ্রেণি গড়ে উঠেছে, যা সৃজনশীল বিজ্ঞানে বাংলাদেশও সমৃদ্ধ জ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের নতুন আদান প্রদান করেছে। বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় বিশেষ করে প্রযুক্তি ও প্রযুক্তির উন্নতির ক্ষেত্রে নতুন প্রয়োগগুলি আবিষ্কার করেছে, যা স্থানীয় সমস্যা সমাধানে সাহায্য করছে।
ইসলামিক প্রযুক্তির উন্নতি
ইসলামের জন্য বৈজ্ঞানিক যাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল, এবং এটি বিভিন্ন প্রযুক্তিতে মোটামুটি উত্কৃষ্ট উন্নতির সাথে সংক্রান্ত ছিল। ইসলামী প্রযুক্তির উন্নতির একটি উদাহরণ হল আবুল কাসেম আল-শাব্বির ব্যাটারি চার্জার, যা মোবাইল ফোনের জন্য একটি জরুরি প্রয়োজনীয় প্রয়োক্তি। এটি মোবাইল প্রযুক্তি সেক্টরে একটি প্রয়োজনীয় উন্নতি সৃষ্টি করেছে এবং মোবাইল ফোন ব্যবসায়ে সাহায্য করছে, যা বাংলাদেশে একটি দ্বিধানিক সাংবাদিক প্রয়োগে সহায়ক।
ইসলামের জন্য বৈজ্ঞানিক যাত্রা এখন বেশ গভীর হয়ে গিয়েছে এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং প্রযুক্তি মুসলিম সম্প্রদায়ে আরও আগ্রহী হয়েছে। এই যাত্রাটি এখনো চলছে এবং মুসলিম বৈজ্ঞানিকদের একটি প্রয়োজনীয় অংশ হয়ে আসছে যা বিশ্বের সাথে যোগাযোগ ও সহযোগিতা করতে সাহায্য করছে।
বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক শেখানো
বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক শিক্ষা ও গবেষণা নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষার স্তর থেকেই বড় গবেষণা প্রতিষ্ঠানের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিকতা দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক বিজ্ঞান উপাদান সম্মেলন এবং বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতা প্রচারিত হয়, যা ছাত্র-ছাত্রীদের বৈজ্ঞানিক আগ্রহ উন্নত করে।
বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের ভবিষ্যতের আশা
বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় এখন বিশ্বের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, এবং এই সম্প্রদায়ের গবেষণা এবং প্রযুক্তির উন্নতি নিশ্চিত করে আমাদের দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে একটি নতুন দিক দেখাচ্ছে। বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় এখন একটি সাপ্তাহিক বিজ্ঞান উপাদান সম্মেলন ও প্রতিযোগিতা আয়োজন করে, যা ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞান এবং দক্ষতা উন্নত করার সুযোগ সরবরাহ করে। এই উপাদানে ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ উন্নত করতে সাহায্য করে এবং বাংলাদেশের সাবেক এবং ভবিষ্যতের বৈজ্ঞানিকদের জন্য একটি স্থায়ী প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় প্রয়োজনীয় সাহায্য ও সাপ্তাহিক বিজ্ঞান উপাদান সম্মেলনের মাধ্যমে বৃদ্ধি করার মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশের জনগণের উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে একটি নতুন দিকে এগিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় এবং প্রযুক্তি মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ ও সহযোগিতা করে আমরা সমৃদ্ধি ও উন্নতির সাথে প্রবৃদ্ধি করতে সক্ষম হচ্ছি, এবং এই যাত্রা এখন আরও গভীর হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় একটি প্রয়োজনীয় অংশ হয়ে আসছে যা বিশ্বের সাথে যোগাযোগ ও সহযোগিতা করতে সাহায্য করছে, এবং এই সম্প্রদায়ের গবেষণা এবং প্রযুক্তির উন্নতি নিশ্চিত করে আমাদের দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে একটি নতুন দিক দেখাচ্ছে। বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় এখন একটি সাপ্তাহিক বিজ্ঞান উপাদান সম্মেলন ও প্রতিযোগিতা আয়োজন করে, যা ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞান এবং দক্ষতা উন্নত করার সুযোগ সরবরাহ করে। এই উপাদানে ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ উন্নত করতে সাহায্য করে এবং বাংলাদেশের সাবেক এবং ভবিষ্যতের বৈজ্ঞানিকদের জন্য একটি স্থায়ী প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করে।
মুসলিম সভ্যতার প্রযুক্তির উন্নতি
মুসলিম সভ্যতার উন্নতি প্রয়োজনীয় তথ্য এবং প্রয়োজনীয় প্রয়োক্তি সরবরাহ করেছে, এবং এটি বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে যেটি আমাদের দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে একটি নতুন দিকে এগিয়ে
Follow Us