জীবনের অস্তিত্বের জন্য গ্রহের যেসব বৈশিষ্ট্য থাকা গুরুত্বপূর্ণ

 

সৌরজগতের পৃথিবী নামক গ্রহে আমাদের বসবাস। কিন্তু, এই পৃথিবীতে কেবল মানবজাতিই না, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৮.৭ মিলিয়ন প্রাণের সন্ধান পাওয়া যায়। যার মধ্যে ১-২ মিলিয়ন হচ্ছে প্রাণী প্রজাতি। এত এত প্রাণ একটা গ্রহে, সৌরজগতের অন্য গ্রহগুলোতে নেই। একবার চিন্তা করে দেখুন, সৌরজগতে পৃথিবী ছাড়াও আরো সাতটি গ্রহ থাকা সত্ত্বেও কেবল পৃথিবীতেই প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। কিন্তু কেন?

বিগ ব্যাং তত্ত্ব অনুসারে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে সুপারঅ্যাটমের বিস্ফোরণের মাধ্যমে। তখন পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহ ছিল গ্যাসীয় অবস্থায়। ধীরে ধীরে শীতল হতে হতে সেসব আজকের পর্যায়ে এসেছে। জীববিজ্ঞানীদের সূত্রানুসারে, আদিম জলজ ও অক্সিজেনবিহীন পরিবেশে রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রথম এককোষী জীবের উদ্ভব হয়। এরপর বিবর্তনের ধারায় এই এককোষী জীবের থেকে সৃষ্টি হয় জলজ জীব, স্থলজ জীব, উদ্ভিদ-প্রাণী ইত্যাদি।

পৃথিবী সৌরজগতের একটি গ্রহ। এছাড়া এই সৌরজগতে আরো সাতটি গ্রহ বর্তমান। সূর্যসহ এই আটটি গ্রহ এবং তাদের উপগ্রহ নিয়ে আমাদের সৌরজগত গঠিত। এরকম আরো হাজার হাজার সৌরজগত নিয়ে গঠিত হয়েছে একটি গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ। আমাদের সৌরজগত মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির আওতাধীন। মহাকাশে এরকম ছায়াপথের সংখ্যাও অগণিত। এ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্টদের ধারণামতে, আমাদের গ্যালাক্সিতে প্রাণ ধারণের উপযুক্ত গ্রহের সংখ্যা আছে প্রায় ৫০০।

এখন যদি আমাদের সৌরজগতের একটি গ্রহে প্রাণের সন্ধান পাওয়া যায়, তাহলে অন্য একটি সৌরজগতের কোনো একটি গ্রহে প্রাণের সন্ধান যে পাওয়া যেতে পারে, সে সম্ভাবনা নিতান্ত অমূলক নয়। অন্তত বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে এ অনুসিদ্ধান্তে আসা যায় যে, অন্য সৌরজগতের কোনো একটি গ্রহে হয়তো প্রাণের অস্তিত্ব আছে।

এক মহাকাশে অসংখ্য ছায়াপথ, এক ছায়াপথে অসংখ্য সৌরজগত এবং সেই প্রতিটি সৌরজগতে যদি একটি করে গ্রহেও প্রাণের অস্তিত্ব থাকে তাহলে এটি বলা যায় যে, মহাবিশ্বে আমরা একা নই। কিন্তু প্রতিটি সৌরজগত একে অপরের থেকে বহু আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করায় আদতে এটি জানা অসম্ভব যে, সেখানে আদৌ কোনো প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে জানা যেতে পারে।

সৌরজগৎ; Image Source: wallpaperplay.com

তো আমাদের লেখার মূল লক্ষ্যে যাওয়া যাক। মহাকাশে আর কোন গ্রহে প্রাণী আছে, তা হয়তো জানা সম্ভব নয়। কিন্তু বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা পৃথিবীর ভূতত্ত্ব, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে কতিপয় বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন। একটি গ্রহের মধ্যে এসব বৈশিষ্ট্য থাকলে সেখানে প্রাণের উদ্ভব হতে পারে বা হয়েছে এরই মধ্যে। আমাদের আজকের লেখার বিষয় হচ্ছে প্রাণ ধারণের জন্য একটি গ্রহের সেসব বৈশিষ্ট্য নিয়ে।

যদিও জীবের উদ্ভবের জন্য যেরকম পরিবেশের প্রয়োজন হয়, জীবের বসবাসের জন্য সেই একইরকম পরিবেশের প্রয়োজন হবে, তেমনটি নয়। উদাহরণ হিসেবে পৃথিবীর কথাই ধরা যাক। পৃথিবীতে প্রথম জলজ পরিবেশে জীবনের উদ্ভব হয়েছিল। সে জীবন ছিল উদ্ভিদ গোত্রীয়। বিজ্ঞান বলে, উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য সালোক-সংশ্লেষণ প্রয়োজন।

এই সালোক-সংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজন সূর্যের আলো এবং বায়ুস্থিত কার্বন ডাই-অক্সাইড। উদ্ভিদ আবার এই কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে অক্সিজেন ত্যাগ করে। প্রাণীরা এই অক্সিজেন গ্রহণ করে কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করে। কিন্তু প্রাথমিক পরিবেশে অক্সিজেন ছিল কি না, তার সঠিক কোনো ধারণা নেই। কিন্তু যেহেতু প্রথম উদ্ভিদের জন্ম হয়েছিল, সেহেতু পৃথিবীর তখনকার পরিবেশে কার্বন ডাই-অক্সাইড থাকার কথা।

কাজেই প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন দরকারি হলেও তার আবির্ভাবের জন্য অক্সিজেন প্রয়োজনীয় নাও হতে পারে। অন্তত পৃথিবীর প্রাথমিক পরিবেশ পর্যলোচনা করে সেটি বলা যেতে পারে।

এখন ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা যাক, বাসযোগ্য গ্রহের বৈশিষ্ট্যসমূহ কী কী-

তাপমাত্রা

কোনো গ্রহে জীবনের উদ্ভব কিংবা জীবন ধারণের জন্য প্রথম যে বৈশিষ্ট্যের প্রয়োজন, সেটি হচ্ছে তাপমাত্রা। কারণ, তাপমাত্রাই নির্ধারণ করে দেয়, কোন গ্রহের পরিবেশ কেমন হবে। গ্রহের তাপমাত্রা অধিক হলে পরিবেশ হবে গ্যাসীয় এবং উত্তপ্ত। গ্রহের তাপমাত্রা কম হলে সে গ্রহের পরিবেশ হবে খুবই কঠিন এবং শীতল।

জীবন ধারণের জন্য সঠিক তাপমাত্রা প্রয়োজন; Image Source: ircamera.as.arizona.edu

জীবন ধারণের জন্য অতিরিক্ত উত্তপ্ত বা অতিরিক্ত শীতল পরিবেশ অনুপযুক্ত। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে পানি। একটি গ্রহের তাপমাত্রা কেমন হবে, তার উপর নির্ভর করে যে, পানি বাষ্প হিসেবে থাকবে নাকি তরল অথবা বরফ। যেহেতু তরল পানি জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কাজেই এর জন্য সঠিক তাপমাত্রা থাকাও গুরুত্বপূর্ণ।

পানি

তাপমাত্রার পরেই জীবনের জন্য পানির গুরুত্ব অপরিসীম। তবে জীবন ধারণের জন্য প্রচুর পানির হয়তো প্রয়োজন নেই। কোনো গ্রহের জীবনের অস্তিত্ব থাকার জন্য যে সেখানে সাতটি মহাসমুদ্র থাকতে হবে, এমন কোনো কথা নেই।

তবে যেহেতু পৃথিবীর প্রেক্ষাপটে আদিম জলজ পরিবেশেই প্রথম প্রাণের উদ্ভব হয়েছিল, জীবনের বেঁচে থাকার জন্যেও পানির প্রয়োজনীয়তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

মঙ্গলপৃষ্ঠে জমে থাকা বরফ, যা ওই গ্রহে পানির অস্তিত্ব নির্দেশ করে; Image Source: space.com

 

শক্তির উৎস

পানির পরে জীবনের জন্য প্রয়োজন হয় শক্তির উৎসের। পৃথিবী প্রাণীরা সাধারণত দু’টি উপায়ে শক্তির যোগান পেয়ে থাকে। প্রথমত সূর্যের আলো এবং দ্বিতীয়ত জারণ-বিজারণ রসায়ন। কোনো গ্রহে জীবনের অস্তিত্ব থাকতে হলে এই দুই শক্তি উৎসের যেকোনো একটি উপস্থিত থাকতে হবে।

আবার উদ্ভিদের জন্য সূর্যের আলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সূর্যালোকের সাহায্যে উদ্ভিদ সালোক-সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাবার তৈরি করে। অন্যদিকে প্রাণীরাও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। তাই সূর্যের আলো থাকাটা জরুরি।

জীবনের জন্য ক্ষতিকর কোনো বস্তুর অস্তিত্ব

ভেবে দেখুন, কোনো গ্রহের তাপমাত্রা ঠিক আছে, পর্যাপ্ত পানি আছে আবার টিকে থাকার জন্য পর্যাপ্ত শক্তির যোগানও আছে। কিন্তু সেখানকার তেজস্ক্রিয়তা এতটাই বেশি যে সেখানে কোনো প্রাণী টিকে থাকতে পারবে না। তাহলে পারতপক্ষে জীবন ধারণের কোনো সম্ভাবনাই নেই। কারণ তেজস্ক্রিয়তার কাছে প্রাণীরা মোমের পুতুলের মতো; যেকোনো সময় গলে যেতে পারে।

অতিরিক্ত বিকিরণ জীবনের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়; Image Source: wallpaperscraft.com

পৃথিবীর ক্ষেত্রেও সূর্যের তাপমাত্রা আর মাত্র কয়েক ডিগ্রি বাড়লেই মানুষের পক্ষে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে। তখন সূর্যের আলোর তেজস্ক্রিয়তা বেড়ে যাবে। কাজেই কোনো গ্রহে জীবন ধারণের জন্য সে গ্রহে জীবনের জন্য ক্ষতিকর কোনো বস্তুর উপস্থিতি থাকা চলবে না।

অবশ্য কিছু কিছু অণুজীবের ক্ষেত্রে একথা প্রযোজ্য নয়। কতিপয় অণুজীব অতিবেগুনি রশ্মি কিংবা আয়ন তেজস্ক্রিয়তা প্রতিরোধী।

নাইট্রোজেন এবং অক্সিজেন

যেখানে জীবনের অস্তিত্ব আছে, সেখানেই প্রোটিন বা অ্যামিনো এসিড থাকতে বাধ্য। অ্যামিনো এসিডের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান হচ্ছে নাইট্রোজেন। কাজেই জীবনের রাসায়নিক ক্রিয়াকলাপের জন্য নাইট্রোজেন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের প্রায় ৭৮ শতাংশই নাইট্রোজেন।

অক্সিজেনের ক্ষেত্রে আগেই বলা হয়েছে, জীবনের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন হলেও উদ্ভবের জন্য সেটি ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গবেষকদের মতে, অক্সিজেন জীবনের অস্তিত্বের জন্য সরাসরি কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ নয়। অক্সিজেনের গুরুত্ব নিয়ে অ্যাস্ট্রোজিওফিজিসিস্ট ডক্টর ক্রিস্টোফার ম্যাককে বলেন, অক্সিজেন হচ্ছে মরুভূমিতে আপনি হারিয়ে গেলে হঠাৎ গাড়ির চাকার ছাপ খুঁজে পাওয়া, যেন আপনি আবার পথের সন্ধান পেতে পারেন।

তবে অবশ্যই জীবন ধারণের জন্য অক্সিজেনের ভূমিকা আছে অনেক। যদি কোনো গ্রহে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেনের উপস্থিতি পাওয়া যায়, তাহলে সে গ্রহে জটিল জৈবনিক ক্রিয়া-কলাপ সমৃদ্ধ জীবনের অস্তিত্ব থাকতে পারে।

এই পাঁচটি বৈশিষ্ট্যকে বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ জীবনের অস্তিত্ব সন্ধানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। তবে এগুলো ছাড়াও কিছু বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করেছেন তারা। যেমন, জীবন ধারণের জন্য উপযুক্ত হতে হলে গ্রহটিকে কোনো নক্ষত্র অর্থাৎ সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতে হবে। সূর্য থেকে এর দূরত্বও এমন হতে হবে যেন তাপমাত্রা এবং তেজস্ক্রিয়তা থাকে সঠিক। সেই সূর্যকে আবার বেঁচে থাকতে হবে বিলিয়ন বিলিয়ন বছর এবং শক্তির যোগান দিতে হবে গ্রহটিকে।

আবার জীবন ধারণের জন্য গ্রহটির ভরের প্রভাব থাকে। গ্রহের ভর যদি হয় খুব কম, সেক্ষেত্রে অভিকর্ষ বলও হবে কম। ফলে গ্রহ তার পৃষ্ঠের বস্তুকে সহজে ধরে রাখতে পারবে না। আবার ভর যদি হয় অধিক, তাহলে অভিকর্ষ বলও হবে অধিক। সেটাও সমস্যা। কেননা, তখন বস্তুর ওজন বেড়ে যাবে বহুগুণে।

জীবের বেঁচে থাকার জন্য যে গ্রহের প্রয়োজন, সে গ্রহ সাধারণত কঠিন হওয়া প্রয়োজন। যেমন আমাদের ভূপৃষ্ঠ মাটি-বালু-পাথরের কঠিন আবরণ দিয়ে গঠিত। যেসব গ্রহ গ্যাসীয়, সেখানে জীবনের অস্তিত্ব্ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই কঠিন আবরণের সাথে বসবাসযোগ্য গ্রহের গলিত ধাতব মজ্জাও থাকতে হবে।

বসবাসযোগ্য গ্রহের কঠিন আবরণের ভেতর গলিত কোর বা মজ্জা থাকতে হবে; Image Source: kindpng.com

তেজস্ক্রিয়তার কথা বলা হয়েছে আগেই। কিন্তু, এই তেজস্ক্রিয়তা একটু এদিক-সেদিক হলেও সমস্যা। কাজেই বাসযোগ্য গ্রহের অবশ্যই একটি প্রতিরোধব্যবস্থা থাকা দরকার। পৃথিবীর ক্ষেত্রে একে আমরা বায়ুমণ্ডল বলে থাকি। বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মিকে ফিল্টার করতে পারে।

বসবাসযোগ্য গ্রহের সন্ধানে

এ পর্যন্ত জ্যোতির্বিদ, বিজ্ঞানী ও গবেষকরা নানাভাবে নানা উপায়ে আবাসযোগ্য পৃথিবীর সন্ধান করেছেন এবং এখনো করে চলেছেন। বিভিন্ন গ্রহের বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণেই কেবল সেটি সীমাবদ্ধ নেই, সেখানে জীবনের অস্তিত্ব পাওয়া যায় কি না- সেটি নিয়েই চলছে সন্ধান। কিছু গ্রহ জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যের সব পূরণ না করলেও বেশ কয়েকটি পূরণ করে।

তবে এরা পৃথিবী থেকে বহু আলোকবর্ষ দূরে হওয়ায় পৃথিবীতে বসে সঠিক পরিমাপ করা সম্ভব নয়। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে সেটি সম্ভব হতে পারে। সেরকমই কিছু গ্রহ সম্পর্কে জানা যাক।

প্রক্সিমা বি (Proxima b) 

আমাদের সৌরজগতের সবথেকে কাছের সৌরজগত হচ্ছে প্রক্সিমা। এই সৌরজগতে প্রক্সিমা সেন্টাউরি হচ্ছে সূর্য। প্রক্সিমা বি প্রক্সিমা সেন্টাউরিকে কেন্দ্র করে ঘোরে। এই সৌরজগত প্রায় ৪.২ আলোকবর্ষ দূরে। প্রক্সিমা বি নামক গ্রহে তরল পানির অস্তিত্ব থাকলেও থাকতে পারে।

উলফ ১০৬১সি (Wolf 1061c) 

এটি অফিউকাস নামক নক্ষত্রমণ্ডলীতে অবস্থিত এবং উলফ ১০৬১ নামক লোহিত বামনকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে। এটি পৃথিবী থেকে ১৩.৮ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।

গ্লিজ ৮৩২সি (Gliese 832c)

এটি গ্লিজ ৮৩২ নামক লোহিত বামনকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে এবং এটি ‘হ্যাবিটেবল জোন’ অর্থাৎ বাসযোগ্য অঞ্চলে অবস্থান করছে। পৃথিবী থেকে এটি ১৬ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।

ট্রাপিস্ট ১ডি (TRAPPIST-1d)

এটি ট্রাপিস্ট-১ নামক শীতল লোহিত বামনকে কেন্দ্র করে আবর্তন করছে, যা অ্যাকুয়ারিয়াস নামক নক্ষত্রপুঞ্জে অবস্থিত। পৃথিবী থেকে এটি ৪০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।

Tags