বাংলাদেশ একটি সুন্দর দেশ, যেখানে প্রাচীন
ঐতিহাসিক স্থান, সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, এবং সহজেই
মানুষের হৃদয়ে জাগ্রত করা সহর। দেশটি একটি প্রাচীন সভ্যতা এবং ধর্মীয় সংস্কৃতির
স্থান এবং বৈশ্বিক বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের অর্থনীতি
ও কর ব্যবস্থা সেই গুরুত্বপূর্ণ দিকটির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই
ব্লগটিতে, আমরা বাংলাদেশের কর বিবরণ এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানবো।
বাংলাদেশের কর সিস্টেম:
বাংলাদেশে করের প্রধান ধরণ হলো আয়কর এবং পৌরশষ্ট্র কর। আয়কর দ্বিতীয় আয়কর আইন, ২০১৫ এবং পৌরশষ্ট্র কর পৌরশষ্ট্র কর আইন, ১৯৯৫ দ্বারা নির্ধারিত হয়েছে।
আয়কর:
বাংলাদেশে আয়কর নম্বর এক কর ধরন। আয়করের আদায়ের জন্য ক্রয় বা বিক্রয় কর্তৃপক্ষের আয়ের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ সরবরাহ করতে হয়। এই আয়কর প্রদান করে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, বা কোনও সংস্থা করে। আয়করের শ্রেণী সমূহ নিম্নলিখিত:
ব্যক্তিগত আয়কর (বিটি): ব্যক্তিগত আয়কর স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিগত আয় এবং স্বাধীন আয়ের উপর নির্ভর করে। ব্যক্তি ব্যক্তিগত আয়কর প্রদান করেন।
কর্পোরেট আয়কর (সিটি): কর্পোরেট আয়কর প্রতিষ্ঠানের আয়ের উপর নির্ভর করে, এবং কোম্পানির আয় থেকে করের পরিমাণ উপর নির্ধারিত হয়।
ভ্যালু যুক্ত কর (ভ্যাট): বাংলাদেশে ভ্যাট দ্বিতীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর ধরন। এটি পৌরশষ্ট্র কর আইন, ১৯৯১ এর তদন্তরীত হয়। প্রায় সমস্ত পণ্য এবং পরিষেবা ভ্যাটের সুরক্ষা আওতায় পড়ে। ভ্যাট একটি পণ্যের উন্নতির প্রতি আদায় কর এবং সংশ্লিষ্ট আদায়ের জন্য পরিষেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের আয় থেকে প্রাপ্ত আদায় এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত কর হতে পারে।
পৌরশষ্ট্র কর:
পৌরশষ্ট্র কর প্রাথমিকভাবে স্থানীয় সরকারের আয়ের জন্য নিয়োজিত
হয়। এটি সরকারের অধীনে উপকরণ হিসেবে কর্মকর্তা বা স্থানীয় প্রশাসনিক সেবাগুলির
আয় থেকে উপকরণ হিসেবে প্রাপ্ত হয়।
বাংলাদেশে করের নিয়মগুলি
বাংলাদেশে করের নিয়ম এবং ব্যবস্থাপনা বেশ সুস্থির এবং অত্যন্ত সংক্ষেপে হয়ে থাকে। নিম্নলিখিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম ও প্রক্রিয়া বাংলাদেশে কর সিস্টেমের অংশ:
আয়কর প্রদান: ব্যক্তিগত আয়কর প্রদানের জন্য ব্যক্তিরা বৎসরে একবার আয় উল্লেখ করে একটি আয়কর প্রদান করতে হয়। এই প্রদান করার জন্য একটি ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়।
ভ্যাট প্রদান: ভ্যাট প্রদানের জন্য কোম্পানিসহ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে একটি ভ্যাট রিটার্ন জমা দিতে হয়। এছাড়া, নিয়োজিত ভ্যাট প্রদানকারীদের সমস্ত পণ্য এবং পরিষেবার উপর ভ্যাট আদায় করতে হয়।
কর্মকর্তা প্রতিরক্ষা কর: বাংলাদেশে আয়কর সাধারণভাবে আয়ের উপর নির্ভর করে, এবং কর্মকর্তা প্রতিরক্ষা কর প্রদান করতে সাহায্য করে।
সাহায্য এবং সার্ভিস ট্যাক্স: বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন ধরণের সার্ভিস ট্যাক্স প্রদান করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, ব্যাংক এবং ইন্স্যুরেন্স সংস্থা কর প্রদান করে।করের আদায়ের তথ্য এবং সুরক্ষা
বাংলাদেশে করের আদায় সার্বজনীন সুরক্ষা ও স্থায়িতা সাধারণভাবে নিশ্চিত করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ রয়েছে:
সঠিক ডকুমেন্টেশন: আপনার আয়ের সঠিক ডকুমেন্টেশন রেখে আপনি করের সাথে সমস্ত সম্পর্কিত কর্মকর্তা বা অধিকরণের সাথে সুস্থির আপাতত সাধারণভাবে প্রতিষ্ঠানিক তথ্য দেওয়া হবে।
সম্মান্য কর পরিশোধ: সম্মান্য সক্ষমতা থাকলে, আপনি সরকারের কর ব্যবস্থাপনা সহীত সমস্ত ব্যবস্থানিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারেন।
সুস্থির কর আদায়ের জন্য কাজ করুন: আপনার ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানিক আয় এবং খরচের সঠিক হিসেব নিয়ে সর্বদা সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ।সরকারের নিরাপত্তা অনুভব করুন: সরকারের নিরাপত্তা এবং আইন প্রশাসনের সাথে সম্পৃক্ত থাকা সুস্থির করে আদায়ের প্রক্রিয়া সহীত সমস্ত নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে।করের মাধ্যমে সরকারি আয়
বাংলাদেশে কর ব্যবস্থা সরকারের আয়ের প্রাথমিক উৎস এবং সরকার এই আয় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সরকারি কাজ ও প্রকল্পের জন্য মূলত যে তাকি করে। এই আয় সরকারের বাজেট পূরণ, বাস্তবায়নে সাহায্য এবং সার্ভিস প্রদানে ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশে কর বিধান ও করের প্রদানের সময়:
বাংলাদেশে করের প্রদানের সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং বেশ সুনিষ্চিত নিয়ম এবং ধারা থাকে। আয়কর ও পৌরশষ্ট্র করের জন্য নির্ধারিত সময়সূচি থাকে এবং ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানিক কর প্রদানের শেষ তারিখের মধ্যে কর প্রদান করা প্রয়োজন। সরকার অধিকাংশ কর প্রদানের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে এবং অনলাইনে সমস্ত প্রক্রিয়া সরলীকরণ করে যাতে নাগরিকরা সহজেই তাদের কর প্রদান করতে পারে।
করের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয় যে কোনও অসম্ভাব্য সংকটের জন্য উপযুক্ত করণীয়। যদি কেউ কর প্রদানে সমস্যা অথবা আপনার কর ফরমে সাহায্য প্রয়োজন হয়, তবে তিনি প্রাধিকৃত সরকারি প্রতিষ্ঠানে যাতে তাকে সাহায্য প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশে করের সুধারণা প্রক্রিয়া:
বাংলাদেশে করের সিস্টেমে সুধারণা এবং প্রক্রিয়াগুলি স্থায়িত এবং কার্যকর রূপে সফলভাবে অগ্রগতি পাচ্ছে। সরকার সত্তর্কভাবে করের আদায়ের মাধ্যমে দেশের আর্থনীতি সুস্থির রাখার চেষ্টা করছে। করের সুধারণা এবং প্রক্রিয়াগুলি নিম্নলিখিত উপায়ে সফলভাবে অগ্রগতি পাচ্ছে:
ডিজিটাল করের প্রদান: বাংলাদেশে করের প্রদান এখন ডিজিটাল প্লাটফর্মে সহজভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। এটি করের সিস্টেমে সহজ অ্যাক্সেস এবং প্রদানের স্বচ্ছতা বাড়াচ্ছে।
করের প্রদানের সময় সহজভাবে সম্পন্ন: করের প্রদান এবং সময় সুস্থিরভাবে পূর্বানুমানিত হয় এবং কর্মকর্তাদের কাজকর্ম সহজ করে তোলে।
কর অনুসারী শিক্ষা: বাংলাদেশে কর সিস্টেমের ব্যবস্থাপনা এবং আদায়ের জন্য সক্ষমতা বাড়াতে এবং করের নিয়ম ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে জনগণকে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
ট্যাক্স এভেশন সার্ভিস: বাংলাদেশ সরকারের ট্যাক্স এভেশন সার্ভিস (TIN) সিস্টেম মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকদের কর নম্বর নিতে সাহায্য করে এবং করের প্রদান সহজ করে তোলে।
করের পরিপ্রেক্ষ্য
বাংলাদেশে করের পরিপ্রেক্ষ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর প্রদানের মাধ্যমে সরকার তার আয় বাজেট পূরণের জন্য অত্যন্ত সক্ষম হতে পারে, এবং এই আয় ব্যবস্থাপনা, সার্ভিস প্রদান, ও প্রকল্পের প্রতি সরকারি নির্দেশিত হতে পারে। এছাড়া, সরকার এই আয় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সামাজিক উন্নতির প্রতি যাতে সুস্থির থাকে, তা নিশ্চিত করতে সম্পৃক্ত হতে পারে।
সমাজের প্রতি দানের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা গেছে যে, করের পরিমাণ এবং করের প্রদানের উপর সরকারের সমাজের উন্নতির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে। সরকার অধিকাংশ করের পরিমাণ বাজেট পূরণে এবং সামাজিক উন্নতির জন্য ব্যবহার করে, এতে সমাজের বেতনভাতা বৃদ্ধি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা উন্নতি, ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হতে পারে।
সমাপ্তি
বাংলাদেশে করের বিস্তারিত বিবরণ এবং করের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সঠিক তথ্য এবং সহায়ক সেবাগুলির সাথে সরকারের সাথে সম্পৃক্ত থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কর সিস্টেম সরকারের প্রাথমিক আয় উৎস এবং এটির প্রতি ব্যবস্থাপনা সুস্থির থাকা জরুরি। এই সার্থক কর সিস্টেমের মাধ্যমে সরকার সামাজিক উন্নতি, বাজেট পূরণ, এবং সার্ভিস প্রদানে সফল হতে পারে। সঠিক কর আদায় ও সরকারি ব্যবস্থাপনা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা, এবং সমস্ত নাগরিকের জন্য উপকারী সেবা নিশ্চিত করে।
Follow Us