বাংলাদেশে কর এবং ভ্যাটের নিম্নলিখিত বিস্তারিত ব্যাপ্তি রয়েছে:
ভ্যাট (Value Added Tax - VAT):
ভ্যাট একটি বৈদ্যুতিক কর সিস্টেম, যেখানে পণ্য এবং সেবা লভ্য হলে মূল্যের এক নির্দিষ্ট অংশ সরকারের কর হিসেবে যোগ হয়। প্রত্যেক পণ্যের বিপরীতে ভ্যাটের পরিমাণ আদান-প্রদানের সময় ক্রেতা ও বিক্রেতা দুটি পক্ষের মধ্যে ভাগ করতে হয়।
ভ্যাটের প্রযোজ্যতা: বাংলাদেশে ভ্যাট প্রযোজ্য পণ্য এবং সেবাগুলির একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে, এবং এই তালিকা সরকার দ্বারা প্রদান করা হয়। এই তালিকা সাধারণভাবে উল্লিখিত বিভাগের পণ্যের জন্য প্রযোজ্য হয়:
খাবার এবং পানীয়: মাংস, মাছ, দুধ, সবজি, ফল, চা, কফি, এনারজি ড্রিঙ্ক, সোডা, মিষ্টি, বিস্কুট, চকলেট, ইত্যাদি।
পোশাক এবং আপরেল: পোশাক, জুতো, জুড়া, গাজি, পাঞ্জাবি, সোলা, চুরি, মাল্টিপিক্স, ইত্যাদি।
ইলেকট্রনিক্স এবং ইউটিলিটি: মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, টেলিভিশন, ফ্রিজ, এসি, বিদ্যুৎ, গ্যাস বিল, মিক্সার, মিক্রোওভেন, ইত্যাদি।
পরিবহন: মোটর গাড়ি, মোটরসাইকেল, ট্রেন টিকেট, রিকশা, ট্যাক্সি, মেট্রো, বাস টিকেট, ইত্যাদি।
বাড়ী ও নির্মাণ: সিমেন্ট, ইট, বাম্বু, স্বচ্ছ পানি সরবরাহ, ইত্যাদি।
শিক্ষা এবং সেবা: শিক্ষা সেবা, হাসপাতাল এবং চিকিৎসা সেবা, ক্যান্টিন, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বাসের টিকেট, ইত্যাদি।
সানড্রি: মাইল্ড, হেনা, সুপারিশিক্ষা, ব্রিক্স, ইত্যাদি।
ইমপোজড সংশোধন কর (Supplementary Duty - SD):
ইমপোজড সংশোধন কর (SD) একটি অতিরিক্ত কর সিস্টেম, যা কিছু বিশেষ ধরনের পণ্যের উপর প্রযোজ্য হয়, এবং এর পরিমাণ বিভাগের পণ্যের জন্য বিভিন্ন হতে পারে। SD এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার আয় উপার্জন করে এবং প্রযোজ্য পণ্যের উপর মূল্য সংযোজন করে। এই উপার্জনের সাথে সাথে সরকার একটি স্বর্ণিম সুযোগ পাতে যা প্রধানভাবে স্বার্থপর্যন্তভাবে ব্যয় হয়।
ইমপোজড সংশোধন করের প্রযোজ্যতা: এই করের প্রযোজ্যতা পণ্যের বিশেষ ধরনের সম্পদের উপর নির্ভর করে। উল্লিখিত পণ্যের বিভাগের অন্তর্গত পণ্যের জন্য প্রযোজ্যতা প্রধানভাবে সরকার দ্বারা তৈরি তালিকা অনুসরণ করে। যে সব পণ্যের জন্য SD প্রযোজ্য, তা প্রতিবছর সরকার বাস্তবায়ন করে এবং এটির তালিকা তৈরি করে।
ইমপোজড সংশোধন করের প্রযোজ্যতা উল্লিখিত বিভাগের পণ্যের জন্য উল্লিখিত হতে পারে:
- টেক্সটাইল ও পোশাক
- আম
- প্লাস্টিক এবং রাবার পণ্য
- এলুমিনিয়াম এবং সিমেন্ট
- ইলেকট্রনিক্স এবং এপ্লায়ন্স
- চুরি এবং পরিধানসমূহ
- স্পোর্টস এবং রিক্রেশনাল পণ্য
- পোস্টের এবং সেবা সংক্রান্ত পণ্য
কর এবং ভ্যাটের সম্পর্কিত নিবন্ধন: বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও বিপণি প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য কর ও ভ্যাট সম্পর্কিত নিবন্ধন আবশ্যক। প্রতিষ্ঠানের প্রধান ব্যক্তির পাসপোর্ট ছবি, ন্যাশনাল আইডি কার্ড, আদালতের নোটারাইজেশন লেটার এবং অন্যান্য প্রযোজ্য দলিল সাথে সরকারের করদাতা দফতরে নিবন্ধন করা হয়।
কর এবং ভ্যাট নির্ধারণ: বাংলাদেশে প্রযোজ্য কর ও ভ্যাট হার সরকারের আর্থিক নীতি অনুযায়ী পরিবর্তন করা হয়। সরকার প্রতি আর্থিক বৎসরে বাজেট প্রদান করে এবং প্রযোজ্য কর এবং ভ্যাট হার স্থায়ী বা অস্থায়ী সরকারের নীতি অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারে। এই নীতি এবং হার পরিবর্তনের সাথে সাথে ব্যবসায়ী ও বিপণি প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে সরকারের আর্থিক নীতির সাথে সমমঞ্চিত হয়।
ট্যাক্স এবং ভ্যাটের পরিশোধ: বাংলাদেশে কর ও ভ্যাটের পরিশোধ সহজ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। ব্যবসায়ী ও বিপণি প্রতিষ্ঠানগুলি নির্ধারিত সময়ে তাদের মাসিক ও বাৎসরিক কর এবং ভ্যাট সম্পর্কিত সকল তথ্য সরকারের করদাতা দফতরে প্রেরণ করে দিতে হয়। অন্যত্র তাদের কর এবং ভ্যাট এর পরিমাণ নির্ধারণ এবং সরকারের করদাতা দফতরে পরিশোধ করা যেতে পারে।
কর এবং ভ্যাটের প্রতি লক্ষ্য: বাংলাদেশ সরকারের মূল লক্ষ্য হলো দেশের অর্থনীতি স্থির রাখা এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নতি করা। কর ও ভ্যাট নির্ধারণের মাধ্যমে সরকার আয় উপার্জন করে এবং প্রয়োজনীয় সেবা ও প্রকল্পে নির্দিষ্ট অর্থ বিনিময় করে।
সময়ের সাথে পরিবর্তন: কর এবং ভ্যাটের সিস্টেম সময়ের সাথে পরিবর্তন করেছে এবং এই পরিবর্তনের সাথে সাথে বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং ব্যবসায়ী ও বিপণি প্রতিষ্ঠানগুলির প্রযুক্ত প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি নেয়।
সময়ের সাথে পরিবর্তন: কর এবং ভ্যাটের সিস্টেম সময়ের সাথে পরিবর্তন করেছে এবং এই পরিবর্তনের সাথে সাথে বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং ব্যবসায়ী ও বিপণি প্রতিষ্ঠানগুলির প্রযুক্ত প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি নেয়।
বাংলাদেশ একটি পৌরাণিক দেশ, এবং এখানে পণ্য এবং সেবা সাপেক্ষে আপনার বাজেটে করের মাধ্যমে অবদান রাখতে হয়। পণ্যের বিভিন্ন ধরনের কর এবং ভ্যাট (মূলত মূল্য যোগ কর) মানুষের বাজেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে গণ্য হয়। এই প্রতিবেদনে, আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগের পণ্যের কর এবং ভ্যাট হার সম্পর্কে জানতে চাই।
পণ্যের কর হার:
বাংলাদেশে পণ্যের কর হার মৌলিকভাবে দুই ধরনের: ভ্যাট (মূলত মূল্য যোগ কর) এবং ইমপোজড সংশোধন কর (ভ্যালু সংযোজন কর)।
ভ্যাট (Value Added Tax - VAT): এই ধরনের কর মূলত প্রত্যেক পণ্যের মূল্যে যোগ করা হয়। বাংলাদেশে ভ্যাট হারের প্রাধান স্তর হলো ১৫%। এই হার বাংলাদেশের সব পণ্যে প্রযোজ্য, যেমন খাবার, পোশাক, ইলেকট্রনিক্স, পরিবহন, সেবা, ইত্যাদি।
ইমপোজড সংশোধন কর (Supplementary Duty - SD): ইমপোজড সংশোধন কর বিশেষ ধরনের পণ্যের মূল্যে যোগ করা হয়, এবং এটি সাধারণভাবে ভ্যাটের উপর যোগ করা হয়। এই করের হার প্রত্যেক বিভাগের পণ্যের জন্য বিভিন্ন হতে পারে, এবং এর হার সরকারের বাজেট এবং আর্থিক প্রশাসনের সুবিধানুযাযী হয়।
বিভাগের পণ্যের কর হার:
পণ্যের কর হার বাংলাদেশে বিভাগের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের উপর প্রযোজ্য। এখানে, বাংলাদেশের বিভাগের পণ্যের কর এবং ভ্যাট হার সম্পর্কে জানতে পারবেন:
১. খাবার এবং পানীয়:
- দুধ, দই, ছানা, মাখন: ১৫% VAT
- মাংস, মাছ: ১৫% VAT
- সবজি, ফল, আলু, পেঁপে, কালি: ১৫% VAT
- চা, কফি, মিল্ক পাউডার: ১৫% VAT
- এনারজি ড্রিঙ্ক, সোডা: ১৫% VAT
- মিষ্টি, বিস্কুট, চকলেট: ১৫% VAT
২. পোশাক এবং আপরেল:
- পোশাক (সাধারণ): ১৫% VAT
- জুতো: ১৫% VAT
- জুড়া, গাজি, পাঞ্জাবি: ১৫% VAT
- সোলা, চুরি: ১৫% VAT
৩. ইলেকট্রনিক্স এবং ইউটিলিটি:
- মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট: ১৫% VAT
- টেলিভিশন, ফ্রিজ, এসি: ১৫% VAT
- বিদ্যুৎ, গ্যাস বিল: ১৫% VAT
৪. পরিবহন:
- মোটর গাড়ি: ১৫% VAT
- মোটরসাইকেল: ১৫% VAT
- ট্রেন টিকেট: ১৫% VAT
৫. বাড়ী ও নির্মাণ:
- নির্মাণ সামগ্রী (সিমেন্ট, ইট, বাম্বু): ১৫% VAT
- স্বচ্ছ পানি সরবরাহ: ১৫% VAT
৬. শিক্ষা এবং সেবা:
- শিক্ষা সেবা: ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কর-ভ্যাট মুফত
- হাসপাতাল এবং চিকিৎসা সেবা: ১৫% VAT
৭. সানড্রি:
- মাইল্ড: ১৫% VAT
- হেনা: ১৫% VAT
- সুপারিশিক্ষা: ১৫% VAT
এছাড়া, বিশেষ ধরনের কর সুবিধা দেওয়া হয় কিছু ক্যাটাগরি পণ্যের জন্য, যেমন:
১. রোজ মালিককৃত নির্মাণ পণ্য (Ready-made garments - RMG): বিশেষ সুবিধানুযাযী হার প্রযোজ্য হয়, যা প্রধানভাবে রোজ উৎপাদনের পণ্যে প্রযোজ্য।
২. রাইস, মুগ, সোয়াবিন, মাশকলাই সেম, সোয়াবিন, মটর শীল, ডাল, সুজি, ময়দা, তেল: এই পণ্যের জন্য কর-ভ্যাট মুফত দেওয়া হয়, যেটি মৌলিকভাবে প্রাথমিক খাবারের পণ্য।
৩. রোজ আইটি সেবা: কিছু আইটি সেবা (যেমন, সফটওয়্যার উৎপাদন) সবচেয়ে নিম্ন ভ্যাট হারের নিচে পরে, যা প্রধানভাবে রোজ উৎপাদনের সেবা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়।
৪. হাসপাতাল এবং চিকিৎসা সেবা: হাসপাতাল এবং চিকিৎসা সেবার জন্য কর-ভ্যাট মুফত, তবে যে সেবা বৈদ্যুতিন চিকিৎসা সেবা প্রদান করে, তা সাধারণ ভ্যাটের আওতাধীন।
ভ্যাট প্রযোজ্য না থাকার ক্ষেত্রে: কিছু পণ্য এবং সেবা বাংলাদেশে ভ্যাট প্রযোজ্য না থাকে, এবং এগুলির উদাহরণ নিম্নলিখিত:
- বিমানপ্রযুক্তি সংশ্লেষণ (এইটির জন্য ৫% কর প্রযোজ্য)
- সেন্সর এবং স্মার্ট কার্ড (এইটির জন্য ১৫% কর প্রযোজ্য)
- সোনালী বিমানের টিকেট
- ধর্মিক গ্রন্থ
- প্রকাশনার মাধ্যমে বাজারে আনা নবান্ন মূলধন
- সদস্যপদ করে ব্যবহারের উপকরণ (মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য)
সংক্ষেপ:
বাংলাদেশে কর এবং ভ্যাটের প্রযোজ্যতা পণ্যের ধরন এবং সরকারের নীতির সাথে সমমঞ্চিত হয়, এবং এই পরিমাণের প্রযোজ্যতা প্রতি বৎসরে পরিবর্তন হতে পারে। কর ও ভ্যাট সিস্টেমের সাথে সাথে প্রত্যেক পণ্য এবং সেবার জন্য প্রযোজ্য করে তা ব্যবসায়ী ও বিপণি প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য প্রস্তুতি নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশে পণ্যের কর এবং ভ্যাট হার প্রতিবেশি বিভাগের পণ্যের জন্য বিভিন্ন
হতে পারে এবং এই হারের পরিমাণ সরকারের নীতি অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে। ১৫%
ভ্যাট সাধারণভাবে প্রযোজ্য হয়, এবং ইমপোজড সংশোধন কর (SD) বিভাগের পণ্যের
জন্য বিভিন্ন হারে প্রযোজ্য হয়। তবে, কিছু পণ্য এবং সেবা ভ্যাট প্রযোজ্য না
থাকতে পারে এবং কিছু পণ্যের জন্য কর-ভ্যাট মুফত দেওয়া হয়। এই নিবন্ধের
মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের কর ও ভ্যাটের সিস্টেমের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
পেরেছি, এবং এটি ব্যবসায়ী ও বিপণি প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
সরবরাহ করতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশে পণ্যের কর এবং ভ্যাট হার প্রত্যেক বিভাগের পণ্যের জন্য বিভিন্ন হতে পারে এবং এগুলির পরিমাণ সম্পর্কে সরকারের নীতি বাদ্ধ। মূলভাবে, ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য হয়, এবং ইমপোজড সংশোধন কর (সিডি) বিভাগের পণ্যের জন্য বিভিন্ন হারে প্রযোজ্য হয়। তবে, কিছু পণ্য এবং সেবা ভ্যাট প্রযোজ্য না থাকতে পারে এবং কিছু পণ্যের জন্য কর-ভ্যাট মুফত দেওয়া হয়। আপনার কর এবং ভ্যাট হারের বিস্তারিত জানতে, সহায়ক সরকারি ওয়েবসাইট এবং করদাতা সাধারণ অফিস দ্বারা সেবা প্রদান করা হয়।
Follow Us